শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
ইউএনও আসার খবরে পালালেন বর, ধরা পড়লেন কাজী-কনের বাবা

ইউএনও আসার খবরে পালালেন বর, ধরা পড়লেন কাজী-কনের বাবা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বাল্য বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতিকালে কাজী আবুল হাশেম (৫০) কে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কাজী অফিস থেকে ৫টি ভূয়া ভলিউম বহি করা জব্দ হয়। ঘটনার সময় পালিয়ে যান বর ও আত্মীয়-স্বজন।

 

রবিবার রাত ১১টায় হাতীবান্ধা উপজেলা বড়খাতা গ্রামের তহশিলদার পাড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ের (১৪) বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বাল্য বিয়ে ও ভূয়া ভলিয়ম বহি পাওয়ার অপরাধে কাজী আবুল হাসেমকে আটক করেছে। এ সময় বিয়ে বন্ধ করে কনের বাবার ৪হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানতে পারেন উপজেলার বড়খাতা গ্রামের তহশিলদার পাড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবী গ্রামের রফিকুল মিয়ার ছেলে সাজু মিয়ার বাল্য বিয়ের আয়োজন করেছেন।

 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ পুলিশের সহায়তায় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বিয়েতে আসা বর ও কনের আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে যায়। এ সময় আটক হন কাজী ও কনের বাবা।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলার সময় বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল, ইউপি সদস্য ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সামিউল আমিন জানান, বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের প্রমাণ হিসেবে কাজী অফিস থেকে ৫টি ভলিউম বই জব্দ করা হয়েছে। আটক কাজীর বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone